May 15, 2025, 6:42 am
মোঃতরিকুল ইসলাম তরুন,
কুমিল্লা থেকে,
কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ১ নং বড় শালঘরের ফরিদ মেম্বার বনাম আলম হাজারী গ্রুপের মধ্যে গত ইউপি নির্বাচন থেকে দাঙ্গা হাঙ্গামার ঘটনা চলে আসছে তারই রেস ধরে গত ২ রা জুন রাতে ছোট শালঘরে বাসিন্দা বড় শালঘরের ইউএমএ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহজাহান ও মিজানকে আলমহাজারীর লোকেরা নির্জন স্থানে পেয়ে মারধর করে। স্থানীয়রা জানান বর্তমান ইউপি সদস্য আলমহাজারীর অনুসারী সাদ্দাম, সুজন,শাওন আকরাম শাহজাহান ও মিজানকে পিটিয়ে আহত করে, শাহজাহান মাস্টারের একটি হাত ভেঙে দেয়। এতে শাহজাহানের সমর্থীত লোকেরা প্রতিপক্ষ আলম হাজারীর সমর্থীত ২৪ বাড়ীতে দাওয়া করে ইটপাটকেল ছুঁড়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে অপরপক্ষে আলমহাজারী মেম্বার ও বহিরাগত সমর্থীত সন্ত্রাস জরকরে পুনরায় ফরিদমেম্বার অনুসারী লোকদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে লুটসহ বেশ কয়েকজনকে আহত করে। এতে নেতৃত্ব দেন ঐ ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সভাপতি সুজন হালদার সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনসহ সাওন,আকরাম। এব্যাপারে নিরহ বাসিন্দা মাহবুব জানান ৯টি বাড়িতে হামলা চালিয়ে শিশু সহ ১৮ জন কে আহত করে আলমহাজারীর লোকেরা। ৯ বাড়িতে লুটসহ ভাঙচুর করে গেছে। এব্যাপারে মামলার প্রক্রিয়া চলছে। এ ব্যাপারে দেবিদ্বার থানা ইনচার্জ জানান খবর পেয়ে ঘটনার স্থল নিয়ন্ত্রণে আনেন। এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রনে আছে গ্রামটি। কোন পক্ষে অভিযোগ করেনি।অভিযোগ হলে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। তবে এই ঘটনায় নিরহ গ্রামবাসিন্দা প্রবাসী নাছির উদ্দিন, বাবুল মিয়া,আবুল কালাম জানান আমরা কোন দলের না,হঠাৎ সন্ত্রাসী সাদ্দাম, সুজন,সাওন,আকরাম বহিরাগত লোকজন নিয়ে দাড়ালো ছেনি,রামদা উচিয়ে অবৈধ ভাবে আমাদের বাড়িতে প্রবেশ করে কুপিয়ে বাড়ি ঘরের আসবাবপত্র ও দরজা জানালা ভাঙচুর করে দামী জিনিস পত্র লুট করে নিয়ে যায়।আমরা প্রশাসনের কাছে বিচার চাই। এ ব্যাপারে আলমহাজারী ও ফরিদমেম্বার কে খোজে পাওয়া যায়নি।